pexels-photo-4219520-4219520.jpg

What is taught in the Surveyor course? How is the earning in this profession? What are the advantages of this profession?

আমিনশিপ কোর্সে মূলত ভূমি পরিমাপ এবং মানচিত্রন সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয় শেখানো হয়। এই কোর্সের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা ভূমি পরিমাপ, মানচিত্রন, ভূমি রেকর্ড রক্ষণাবেক্ষণ, এবং ভূমি সম্পর্কিত অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোর দক্ষতা অর্জন করে। নিচে আমিনশিপ কোর্সে শেখানো কয়েকটি বিষয়ের তালিকা দেওয়া হলো:

1. ভূমি পরিমাপের মৌলিক ধারণা: ভূমি পরিমাপের মূল বিষয়গুলি, বিভিন্ন যন্ত্রপাতি ও প্রযুক্তির ব্যবহার শেখানো হয়। শিখতে পারবেন সি.এস , এস.এ , আর.এস ,বি.এস , সহ সকল ধরনের পর্চা বা খতিয়ান চেনার সহজ পদ্ধতি।

2. প্র্যাকটিক্যাল ল্যান্ড সার্ভে: শিক্ষার্থীদের মাঠ পর্যায়ে ভূমি পরিমাপের প্র্যাকটিক্যাল অভিজ্ঞতা দেওয়া হয়। পর্চা বা খতিয়ান থেকে কিভাবে অংশানুযায়ী জমির পরিমাণ বের করা যায়।

3. জমির নকশা/মানচিত্র: মানচিত্র তৈরি এবং তার সঠিক ব্যবহার সম্পর্কে বিশদ জ্ঞান প্রদান করা হয়। নকশা কিভাবে চিনা যায় এবং নকশা থেকে কিভাবে জমির পরিমাণ বের করা যায়। কোন স্কেল দিয়ে কিভাবে নকশা পারিমাপ করতে হয়।

4. জমির দলিল ও কাগজপত্রঃ জমির দলিলপত্র কিভাবে অতি সহজে বুঝতে পারা যায় এর সঠিক পদ্ধতি। এবং জমির দলিলপত্র কিভাবে যাচাই বাচাই করা যায় এর সঠিক গাইড লাইন । কিভাবে জমি পরিমাপ ও ভাগবন্টন করে সীমানা নির্ধারণ করা যায় ।

5. ভূমি সংক্রান্ত প্রাথমিক আইন এবং বিধি: ভূমি সম্পর্কিত আইন এবং বিভিন্ন বিধি-নিষেধ সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের অবহিত করা হয়। ওয়ারিশন সম্পত্তি কীভাবে বণ্টন করতে হয় সেটা শিখতে পারবেন। এছাড়া সরকারী খাস জমি বন্দবস্ত এবং একোয়ার সম্পর্কে ধারণা পাবেন।

6. জমি খারিজ বা নামজারীঃ নামজারি খতিয়ান চেনার উপায়। নামজারি করার প্রয়োজনীয়তা। নামজারী না করলে কী কী অসুবিধা হতে পারে।

দেখুন-

7. ডিজিটাল ভূমি পরিমাপ প্রযুক্তি: জিপিএস এবং জিআইএস প্রযুক্তির ব্যবহার শিখানো হয়। যা আধুনিক উপায়ে জমি পরিমাপের অন্যতম পদ্ধতি।

8. ড্রাফটিং এবং প্ল্যানিং: ভূমির ড্রাফটিং ও পরিকল্পনা করার দক্ষতা শেখানো হয়।

9. কম্পিউটার অ্যাপ্লিকেশন: ভূমি পরিমাপ ও মানচিত্র তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় সফটওয়্যার এবং অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহারের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।

আমিনশিপ (survey) কাজের আয় কেমন?

আমিনশিপ পেশায় আয়ের পরিমাণ বিভিন্ন উপাদানের ওপর নির্ভর করে। এটি নির্ভর করে আপনার কাজের অভিজ্ঞতা, দক্ষতা এবং প্রকল্পের ধরন ও আকারের ওপর। প্রাথমিক স্তরে একজন আমিন সাধারণত মাসে ২০,০০০ থেকে ৩০,০০০ টাকা আয় করতে পারেন। অভিজ্ঞতা এবং দক্ষতা বৃদ্ধির সাথে সাথে আয়ের পরিমাণও বাড়তে থাকে, এবং বেশ কিছু বছর কাজ করার পর একজন অভিজ্ঞ আমিন মাসে ৫০,০০০ থেকে ৮০,০০০ টাকা বা তার বেশি আয় করতে পারেন।

অনলাইন সার্ভে করে কত টাকা আয় করা যায়?

অনলাইন সমীক্ষা হল সামান্য অতিরিক্ত অর্থ উপার্জন করার বা আপনার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের উপরে তোলার একটি ভাল উপায়। এটি সম্পদ তৈরি করার একটি ভাল উপায় নয়, তবে আপনি একটি বড় প্রতিশ্রুতি ছাড়াই প্রতিদিন প্রায় 1000-2000 টাকা উপার্জন করতে পারেন। আপনি যদি অলস সময়কে আরও ভালভাবে ব্যবহার করতে চান তবে সেগুলি নেওয়া একটি ভাল পছন্দ হতে পারে।

আমীনশিপ কোর্স করতে কতদিন সময় লাগে?

সাধারণত ৩ মাস থেকে ৬ মাস পর্যন্ত সময় লাগে আমীনশিপ বা ল্যান্ড সার্ভে এর কাজ শিখতে । এছাড়া, ৩ মাস / ৬ মাস মেয়াদি অনলাইন ট্রেনিংনিয়ে হয়ে উঠতে পারবেন একজন দক্ষ সার্ভেয়ার ।

অনলাইন কোর্স করতে এখানে ক্লিক করুনঃ ময়নামতি সার্ভে টেকনিক্যাল ট্রেনিং ইনস্টিটিউট

ক্যারিয়ার হিসেবে আমিনশিপের (survey) ইতিবাচক দিক

আমিনশিপ পেশাটি বাংলাদেশে একটি গুরুত্বপূর্ণ ও প্রয়োজনীয় পেশা। এর ইতিবাচক দিকগুলি নিচে আলোচনা করা হলো:

1. উচ্চ চাহিদা: বাংলাদেশে ভূমি সম্পর্কিত কাজের পরিমাণ বাড়ছে, যা আমিনশিপ পেশার চাহিদা বাড়াচ্ছে। ফলে এই পেশায় কাজের সুযোগ অনেক বেশি।

2. স্থায়ী আয়: এই পেশায় কাজের পরিমাণ ও প্রকল্পের ভিত্তিতে আয়ের সুযোগ রয়েছে। এছাড়া সরকারি চাকরি হিসেবে আমিন পদে নিয়োগ পাওয়া গেলে চাকরির নিরাপত্তা ও সুবিধা পাওয়া যায়।

3. কাজের বৈচিত্র্য: আমিন পেশায় বিভিন্ন ধরনের প্রকল্পে কাজ করার সুযোগ রয়েছে। বিভিন্ন ধরনের ভূমি পরিমাপ, মানচিত্রন এবং পরিকল্পনার কাজের মাধ্যমে কাজের বৈচিত্র্য বজায় থাকে।

4. প্রযুক্তির ব্যবহার: আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে কাজ করার সুযোগ রয়েছে। জিপিএস, জিআইএস, এবং অন্যান্য প্রযুক্তির মাধ্যমে কাজ করার মাধ্যমে দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে।

5. স্বনির্ভরতা: এই পেশায় ফ্রিল্যান্সিং বা স্বনির্ভর ভাবে কাজ করার সুযোগ রয়েছে। নিজের উদ্যোগে কাজ শুরু করে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠা করার সুযোগ রয়েছে।

6. সামাজিক মূল্যায়ন: ভূমি পরিমাপ এবং মানচিত্রন সম্পর্কিত কাজের গুরুত্ব বিবেচনা করে সমাজে এই পেশার সম্মান ও মূল্যায়ন রয়েছে।

7. পার্টটাইম কাজ: আপনি যেকোনো চাকরি বা ব্যাবসার পাশাপাশি এই কাজটি পার্টটাইম করতে পারেন। সেক্ষেত্রে শুক্র ও শনিবার আপনি আমিনশিপ করতে পারেন।

8. ট্রেইনার/প্রশিক্ষক হতে পারেন: আপনি যদি ভালোমত কাজটি শিখতে পারেন তাহলে আপনি নিজেও অনলাইনে বা সরাসরি অন্যদের প্রশিক্ষণ দিতে পারবেন।

9. সালিশ/সমঝোতা: বিশেষ করে গ্রাম অঞ্চলে মানুষ স্থানীয় খুচরা মাতবর দ্বারা ভুলভাবে পরিচালিত হয়। জমি কেন্দ্রীক বিরোধ দেখা দিলে তারা সেখানে আরও বেশি বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে। এক্ষেত্রে, আপনি একজন সমঝদার মানুষ হিসেবে সততার সাথে জমিজমা নিয়ে মানুষের বিরোধ দূর করে সমাজকল্যাণে অংশ নিতে পারেন।  

সুতরাং, আমিনশিপ পেশা একটি গুরুত্বপূর্ণ এবং সম্ভাবনাময় ক্যারিয়ার হতে পারে। বর্তমান বাজারের চাহিদা এবং ভবিষ্যতের সুযোগ বিবেচনা করে এই পেশায় কাজ শুরু করা একটি সঠিক সিদ্ধান্ত হতে পারে।

g18a6363f2bc2006199e5c895050a3caa6986360be2f14d1a093591bb9ba231d5bb84af5a986eca5480246f880a49e593_640-4373158.jpg

আরও পড়ুন-

ভূমি আইন ২০২৩ দখল সংক্রান্ত অপরাধ ও প্রতিকার

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।