সরকারী চাকরিজীবীরা নতুন পেনশন স্কীম চান কি না? সর্বজনীন পেনশন স্কিম

আগামী অর্থবছর অর্থাৎ ২০২৫-২০২৬ থেকে নিয়োগ পাওয়া সরকারি কর্মকর্তাদের অবসর পরবর্তী পেনশন সুবিধার পরিবর্তে সর্বজনীন পেনশন স্কিমে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। সরকারি কর্মকর্তাদের জন্য আলাদা পেনশন স্কীম থাকবে না।

বাংলাদেশের বর্তমান অর্থমন্ত্রী বলেছেন, ”স্বায়ত্তশাসিত এবং রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের নতুন নিয়োগপ্রাপ্তদের ইতোমধ্যে এ স্কিমের আওতায় আনা হয়েছে। শিগগির আমরা অন্যান্য সরকারি প্রতিষ্ঠানের নতুন নিয়োগপ্রাপ্তদের জন্য ২০২৫ সালের ১ জুলাই  থেকে এ ব্যবস্থা চালু করব।”

বাংলাদেশের সরকার প্রকাশিত নতুন পেনশন স্কিম চালুর ঘোষণা দেয়ার পর বিভিন্ন দলের পক্ষ থেকে বিভিন্ন রকম প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। এই স্কিমের মাধ্যমে সরকারি কর্মচারীদের পেনশনের ব্যবস্থা পূর্ণাঙ্গভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে এবং তাদের জীবনকে স্থিতিশীল ও নিরাপদ করার চেষ্টা চলছে। এই ব্লগে পাঠকদের জন্য পেনশন স্কিমের পরিপ্রেক্ষিতে বর্তমান অবস্থা, বিতর্ক, প্রধান প্রশ্ন এবং তার প্রভাব নিয়ে আলোচনা করা হবে।

পেনশন স্কিমের প্রস্তাব

বাংলাদেশ সরকারের দ্বারা প্রকাশিত নতুন পেনশন স্কিমের উদ্দেশ্য হল সরকারি কর্মচারীদের জন্য একটি স্থিতিশীল ও সুস্থ পেনশন ব্যবস্থা সৃষ্টি করা। এই স্কিমের মাধ্যমে প্রতি কর্মচারীর জন্য নির্ধারিত বয়সে অবসর সময়ে পেনশন নিশ্চিত করা হবে এবং তাদের পরিবারের সুরক্ষা প্রদান করা হবে। এই স্কিম মাধ্যমে পেনশনের পরিমাণ এবং প্রদানের পদ্ধতি নতুনভাবে নির্ধারণ করা হবে যাতে কর্মচারীদের সুবিধার মাত্রা এবং সরকারের সামর্থ্য অনুযায়ী এটি অনুসরণ করা যায়। এছাড়াও, সরকার কর্তৃক হাবে জিতার প্রক্রিয়া সরবরাহের উন্নয়ন করা হবে যাতে সমস্যাগুলি নিশ্চিতভাবে সমাধান করা হয়।

সর্বজনীন পেনশনের ৪টি স্কিম আছে। সরকার এর মধ্যে বিদেশে কর্মরত বাংলাদেশিদের জন্য ‘প্রবাস’, বেসরকারি খাতের কর্মীদের জন্য ‘প্রগতি’, উদ্যোক্তাদের জন্য ‘সুরক্ষা’ এবং দারিদ্রসীমার নিচে বসবাসকারীদের জন্য ‘সমতা’ স্কিম চালু করেছে। সমতা নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য। প্রবাস শুধু প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য। আর সুরক্ষা রিকশাচালক, কৃষক, শ্রমিক, কামার, কুমার, জেলে, তাঁতি ইত্যাদি স্বকর্মে নিয়োজিত নাগরিকদের জন্য। এবারের বাজেট বক্তব্যে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী ঘোষণা দিয়েছেন, ২০২৫ সালের ১ জুলাই থেকে সরকারি কর্মচারীদের জন্য নতুন আরেকটি কর্মসূচি চালু হবে।

প্রত্যয় স্কীম যাঁদের জন্য প্রযোজ্য:

বাংলাদেশ ব্যাংক, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি), বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ), ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশসহ (আইসিবি) সব রাষ্ট্রমালিকানাধীন ও সরকারি ব্যাংক; ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ সব সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, সাধারণ বীমা করপোরেশনসহ সব করপোরেশন, পেট্রোবাংলা, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি), বিএসটিআইসহ প্রায় ৪০০ সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানের নতুন কর্মকর্তা-কর্মচারীর জন্য প্রত্যয় প্রযোজ্য হবে। সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পদ্মা অয়েল, যমুনা অয়েলসহ সরকারের হাতে ৫০ শতাংশের বেশি শেয়ারের মালিকানা রয়েছে, এমন কোম্পানিগুলোতে নতুন যোগ দেওয়া কর্মীরাও আর বিদ্যমান নিয়মে পেনশন পাবেন না।

এই পেনশন স্কিম যাতে চালু না হয়, সে লক্ষ্যে আন্দোলন করছে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন। 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জিনাত হুদা বলেন, ‘প্রত্যয় চালুর মাধ্যমে বিদ্যমান সুবিধা কাটছাঁট করা হচ্ছে। এটি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বায়ত্তশাসনের পরিপন্থী এবং এতে শুভংকরের ফাঁকি আছে। এই সিদ্ধান্ত ৩০ জুনের মধ্যে প্রত্যাহার করা না হলে পরদিন থেকে আমরা সর্বাত্মক কর্মসূচিতে যাব। অর্থাৎ পাঠদান, পরীক্ষাসহ প্রশাসনিক কার্যক্রমও বন্ধ করে দেওয়া হবে।’

বিতর্কের বিষয়সমূহ:

‘প্রত্যয়’ স্ক্রিমে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্ত না করার দাবি আজ ৩০ জুনের মধ্যে মেনে নিতে সময় বেঁধে দিয়ে সরকারি সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে ‘বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন’। দাবি মানা না হলে ১ জুলাই থেকে তারা কর্মবিরতিতে যাবেন বলে জানিয়েছেন। শিক্ষকদের এই আন্দোলন চলতে থাকলে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের সেশনজটসহ আরও নানা নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। এই পরিস্থিতির মধ্যেও সরকার এখনও সিদ্ধান্তে অনড়।

নতুন পেনশন স্কিমের বিতর্কের বিষয়গুলির মধ্যে বিভিন্ন দলের মধ্যে পরামর্শ দিয়ে সরকারের সুবিধাসমূহ বিশ্লেষণ করা হয়েছে। কিছু প্রধান বিষয়গুলি হলো:

  1. পেনশনের পরিমাণ এবং উন্নয়ন: বিভিন্ন দলের মধ্যে স্কিমের পেনশনের পরিমাণ এবং তা উন্নতির প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে বিভিন্ন মতবিনিময় দেখা গেছে। অনেকে মনে করেন যে পেনশনের পরিমাণ প্রতিবর্ষে অবশ্যই উন্নতি করা উচিত এবং প্রধানত মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষেত্রে এটি সুপারিশ করেন।
  2. ফিনান্সিয়াল সুস্থতা: স্কিমের ফিনান্সিয়াল সুস্থতার প্রতি বিভিন্ন দলের মধ্যে চিন্তা উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। কিছু দল এটি সামর্থ্য অভিযানের উত্থান সমর্থন করেন এবং অন্যদের তা নিশ্চিত করেন না। তবে, অনেকে মনে করেন যে এই স্কিম প্রক্রিয়াগতিতে অসুবিধা তৈরি করতে পারে এবং সম্প্রচারের সামর্থ্য অন

ুযায়ী এটি সমাধান করা উচিত।

  1. সমস্যা ও প্রতিক্রিয়া: কিছু দল দ্বারা পেনশন স্কিমে সমস্যাগুলি সমাধানের জন্য চিন্তা করা হয়েছে, বিশেষ করে তাদের পরিবারের সুরক্ষা প্রদানের সময়।

আরও পড়ুন

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন https://moynulshah.com/%e0%a6%a1%e0%a6%bf%e0%a6%9c%e0%a6%bf%e0%a6%9f%e0%a6%be%e0%a6%b2-%e0%a6%a8%e0%a6%bf%e0%a6%b0%e0%a6%be%e0%a6%aa%e0%a6%a4%e0%a7%8d%e0%a6%a4%e0%a6%be-%e0%a6%86%e0%a6%87%e0%a6%a8-%e0%a7%a8%e0%a7%a6/

সমাপ্তি ও পরবর্তী অগ্রগতি

বাংলাদেশের নতুন পেনশন স্কিম সরকারি কর্মচারীদের পেনশন ও অন্যান্য সার্ভিস প্রদানের একটি উন্নয়ন হিসেবে গণ্য হয়। এটির সফল সম্পাদনার জন্য, সকল প্রক্রিয়া সম্পর্কে যথাযথ সুরক্ষা এবং সুস্থতার প্রয়োজন। পেনশন স্কিমের প্রভাব ও অনুপ্রাণিত ক্রিয়াকলাপের সম্ভাব্য ফলাফল নিয়ে পুনরায় চিন্তা করা প্রয়োজন।

পেনশন কর্তৃপক্ষ বলছে, বর্তমানে অবসরভোগী চাকরিজীবীরা যেভাবে পেনশন পাচ্ছেন, সেভাবেই পাবেন। ১০ বছর চাকরি আছে—কোনো প্রতিষ্ঠানের এমন চাকরিজীবীরা নতুন ব্যবস্থার আওতায় আসতে পারেন অথবা বিদ্যমান ব্যবস্থায়ও থেকে যেতে পারেন। অর্থ বিভাগ ও পেনশন কর্তৃপক্ষ প্রত্যয় চালুর পক্ষে যুক্তি দিয়ে বলছে, কর্মচারীদের অবসরোত্তর-জীবনের আর্থিক ও সামাজিক সুরক্ষা দিতে বিদ্যমান ব্যবস্থার বিকল্প হিসেবে সরকার প্রত্যয় চালু করছে। বিদ্যমান ব্যবস্থায় খুব কমসংখ্যক স্বশাসিত, স্বায়ত্তশাসিত, রাষ্ট্রায়ত্ত, সংবিধিবদ্ধ বা সমজাতীয় সংস্থা ও তাদের অধীন অঙ্গপ্রতিষ্ঠানে পেনশন কর্মসূচি চালু আছে।

সমাপ্তি

এই ব্লগটি বাংলাদেশের নতুন পেনশন স্কিমের বিষয়ে বিতর্ক ও প্রতিক্রিয়া নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করে। এটি বাংলাদেশের সরকারি কর্মচারীদের জন্য পেনশন স্কিমের প্রভাব ও অনুপ্রাণিত ক্রিয়াকলাপের সম্ভাব্য পরিণাম নিয়ে পুনঃবিচার করতে সাহায্য করবে।

জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ ওয়েবসাইট https://jakarta.mofa.gov.bd/bn/site/page/Universal-Pension-Scheme

3 thought on “বাংলাদেশের নতুন পেনশন স্কিম: বিতর্ক ও প্রতিক্রিয়া”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *